আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) জান্নাতি হওয়ার জন্য নিয়মিত ফরয আমলগুলো করার পাশাপাশি কিছু নফল ইবাদত করতে বলেছেন। যে ইবাদতগুলো সওয়াব অনেক বেশি। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) জান্নাত পাওয়ার জন্য যে আমলগুলো করতে বলেছেন সেগুলো হলো-
১. জান্নাতে প্রবেশের প্রথম উপায় হলো: শাহাদাত অর্থাৎ একথার সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ছাড়া আর সত্য কোন ইলাহ নেই, যিনি একক, যার কোন শরীক নেই। আর মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। সুতরাং যে ব্যক্তি ইসলামের এ সাক্ষ্য প্রদান করবে, এর যাবতীয় আরকান পালন করবে, আর এক অদ্বিতীয় আল্লাহর ইবাদাত করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। উবাদাহ ইবন সামেত রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করে বলেন: «من شهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له وأن محمدا عبده ورسوله، وأن عيسى عبده ورسوله وكلمته ألقاها إلى مريم وروح منه ، والجنة حق والنار حق أدخله الله الجنة ما كان من العمل» (متفق عليه). ‘‘যে ব্যক্তি এ কথার সাক্ষ্য দিবে যে, ‘এক অদ্বিতীয় আল্লাহ ছাড়া আর কোন প্রকৃত ইলাহ নেই, তাঁর কোন শরীক নেই, আর মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল, ঈসা আলাইহিস সালাম তাঁর বান্দা ও রাসূল এবং আল্লাহর কালেমা যাকে তিনি মারিয়ামের নিকট প্রেরণ করেছেন এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে রূহ, আর জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য’। আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, তার আমল যাই হোক না কেন’’। [বুখারী ও মুসলিম]
আল্লাহ বলেন: ﴿ إِنَّ ٱلَّذِينَ قَالُواْ رَبُّنَا ٱللَّهُ ثُمَّ ٱسۡتَقَٰمُواْ فَلَا خَوۡفٌ عَلَيۡهِمۡ وَلَا هُمۡ يَحۡزَنُونَ ١٣ أُوْلَٰٓئِكَ أَصۡحَٰبُ ٱلۡجَنَّةِ خَٰلِدِينَ فِيهَا جَزَآءَۢ بِمَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ ١٤ َ﴾ [الأحقاف: 13-14] ‘‘নিশ্চয়ই যারা বলে, আমাদের রব আল্লাহ, অতঃপর এ কথার উপর সুদৃঢ় থাকে। তাদের কোন ভয় ভীতি নেই, তাদের কোন চিন্তা নেই। তারাই জান্নাতবাসী, সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। এ জান্নাত তারা তাদের কৃত কর্মের ফল স্বরূপ লাভ করবে। [সূরা আল আহক্বাফ: ১৩-১৪]
আয়াতে উল্লেখিত الاستقامة শব্দটির অর্থ হল: আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করা। আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: «كل أمتي يدخلون الجنة إلا من أبى، فقالوا يا رسول الله ومن أبى؟ قال من أطاعني دخل الجنة ومن عصاني فقد أبى» (رواه البخاري). ‘‘জান্নাত পেতে আগ্রহী নয় এমন ব্যক্তি ছাড়া আমার সকল উম্মাতই জান্নাতে প্রবেশ করবে। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! কে এমন ব্যক্তি আছে যে জান্নাতে যেতে অস্বীকৃতি জানায়? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করবে সে জান্নাতে যাবে, আর যে আমার নাফরমানী করবে ও অবাধ্য হবে, সেই জান্নাতে যেতে অস্বীকার করে’’। [বুখারী ]
২. আল্লাহর সুন্দর সুন্দর নামসমূহ মুখস্থ করা এবং এ নামগুলো সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা জান্নাতে প্রবেশের একটি উপায়। আবু হুরায়রা রাদি আল্লাহ আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: «إن لله تسعة وتسعين اسما، مائة إلا واحدا، مَن أحصاها دخل الجنة». ‘‘আল্লাহর নিরানববইটি নাম আছে। যে ব্যক্তি এ নামগুলো গণনা করবে, সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে’’। [বুখারী ও মুসলিম]
৩. আল কুরআনের অনুসারীগণ, যারা আল্লাহর আহল ও তাঁর খাস বান্দা, কুরআন তাদের জান্নাতে প্রবেশের উপায় হবে। আবদুল্লাহ ইবন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: «يقال لصاحب القرآن: اقرأ وارتق، ورتل كما كنت ترتل في الدنيا، فإن منزلتك عند آخر آية تقرأ بها» (رواه الترمذي وأبو داود وابن ماجة وصححه الألباني). ‘‘আলকুরআনের সঙ্গীকে বলা হবে: কুরআন পাঠ কর, আর মর্যাদার উচ্চশিখরে আরোহণ কর। আর তেলাওয়াত করতে থাক। যেমন দুনিয়াতে তেলাওয়াত করছিলে; কেননা তোমার মর্যাদা হলো কুরআনের শেষ আয়াত পর্যন্ত যা তুমি পাঠ করবে’’। [তিরমিযী, আবু দাউদ, ইবনে মাযাহ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন]
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে আরো প্রমাণিত রয়েছে যে, কতিপয় সূরা ও আয়াত জান্নাতে প্রবেশের মাধ্যম। আবু উমামা থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: «من قرأ آية الكرسي في دبر كل صلاة مكتوبة لم يمنعه من دخول الجنة إلا أن يموت». ‘‘যে ব্যক্তি প্রতি ফরয সালাতের পর আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে, মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে সে জান্নাতবাসী হবে’’। [নাসায়ী, তাবারানী, ইবনে হিববান এটি বর্ণনা করেছেন ও আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন] আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: «سورة من القرآن ما هي إلا ثلاثون آية خاصمت عن صاحبها حتى أدخلته الجنة وهي تبارك». ‘‘৩০ আয়াত বিশিষ্ট কুরআনের একটি সূরা, এর পাঠকের জন্য জান্নাতে না নেয়া পর্যন্ত সুপারিশ করতেই থাকবে। সূরাটি হল তাবারাকা’’ (তথা সূরা মূলক)। [তাবারানী এটি বর্ণনা করেছেন এবং আলবানী বিশুদ্ধ বলেছেন]
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি মাসজিদে কোবায় আনসার সাহাবীদের ইমামতি করতেন। তিনি প্রতি রাকাতেই قل هو الله أحد সূরাটি পাঠ করতেন। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে জিজ্ঞাসা করলেন: তুমি কোন কারণে প্রতি রাকাতে এ সূরাটি পাঠ কর? উত্তরে সে সাহাবী বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি এ সূরাটি খুব পছন্দ করি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন বললেন, এ সূরাটি পছন্দ করার কারণেই তুমি জান্নাতে প্রবেশ করবে। [ইমাম বুখারী হাদীসটি সনদবিহীন বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী ও আলবানী হাদীসটিকে উত্তম ও সহীহ বলেছেন]
৪. যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ইলম অর্জন করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের পথকে সহজ করে দেন। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: «من سلك طريقا يلتمس فيه علما سهل الله له به طريقا إلى الجنة» (مسلم). ‘‘যে ব্যক্তি ইলম হাসিলের উদ্দেশ্যে রাস্তায় বের হয়, এর বিনিময়ে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের পথ সুগম করে দেন’’। [মুসলিম]
৫. আল্লাহ তা’লার যিক্র: আল্লাহর তাসবীহ (স্তুতি), তাহলীল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) এবং তাকবীরের ফযীলত সম্পর্কে আবদুল্লাহ ইবন মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: «لقيتُ ليلة أسري بي إبراهيمَ، فقال يا محمد، أقرئ أمتك مني السلام وأخبرهم أن الجنة طيبة التربة، عذبة الماء، وأنها قيعان وأن غراسها سبحان الله والحمد لله ولا إله إلا الله والله أكبر». ‘‘মেরাজের রাতে ইবরাহীম আলাইহিস্ সালামের সাথে আমার সাক্ষাৎ হলে তিনি বললেন, হে মুহাম্মাদ! তোমার উম্মাতকে আমার সালাম বলো এবং তাদেরকে এ সংবাদ দাও যে, জান্নাতের মাটি সুন্দর, পানি মিষ্টি, আর জান্নাত সমতল এবং এর বৃক্ষরাজি সুবহানাল্লাহ, আলহামদুল্লিাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার’’। [তিরমিযীএটি রেওয়ায়েত করেছেন এবং আলবানী তাকে উত্তম বলেছেন]
৬. জান্নাতে প্রবেশের উপায়সমূহের মধ্যে আরো একটি হল প্রতি সালাতের পর আল্লাহর যিক্র পাঠ: আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, গরীব মুহাজিরগণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এসে বললেন. ধনী ও বিত্তবান লোকেরা তো আল্লাহর নিকট সুউচ্চ মর্যাদা এবং নানাবিধ নেয়ামত লাভে ধন্য হয়ে গেল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, কীভাবে? তারা জবাব দিলেন যে, আমরা যেমন সালাত আদায় করি তারাও সালাত আদায় করে। আমরা যেমন রোযা পালন করি তারাও রোযা পালন করে। কিন্তু তারা দান সদকা করে আমরা তা করতে পারি না।
তারা গোলাম আযাদ করে আমরা তা করি না। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: আমি কি তোমাদেরকে এমন কিছু শিক্ষা দেব, যার দ্বারা তোমরা তোমাদের অগ্রবর্তীদের সমকক্ষ হবে, আর তোমাদের পরবর্তীদের চেয়ে অগ্রগামী হবে? আর তোমাদের চেয়ে উত্তম কেউ হবে না, সে ব্যক্তি ছাড়া যে তোমাদের মতই এ কাজগুলো করবে। তারা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদেরকে সে কাজ শিক্ষা দিন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, সালাতের পর ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আল্লাহু আকবার, আর ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ পাঠ করবে’’। [মুসলিম]
৭. অনুরূপভাবে অযুর পর কালিমায়ে শাহাদাত পাঠও জান্নাতে যাওয়ার উপায়। উকবাহ ইবন আমের বলেন: আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তোমাদের কেউ সুন্দর করে অযু করার পর যদি বলে: «أشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له وأن محمدا عبده ورسوله». তার জন্য জান্নাতের ৮টি দরজাই উন্মুক্ত করে দেয়া হবে, সে যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা জান্নাতে প্রবেশ করবে। [মুসলিম]
৮. لا حول ولا قوة إلا بالله এ দো‘আ হল জান্নাতের ভান্ডার: আবু মুসা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: আমি কি তোমাকে জান্নাতের ভান্ডার সমূহের একটি ভান্ডার সম্পর্কে অবহিত করব? আমি বললাম: হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বলেন, বলো: لا حول ولا قوة إلا بالله অর্থ্যাৎ: ‘‘আল্লাহর আশ্রয় ও শক্তি ছাড়া আর কারো কোন ক্ষমতা নাই’’। [বুখারী, মুসলিম]
Our beloved Prophet Muhammad (peace be upon him.) To heaven to worship regularly obligatory deeds, as well as some additional says. Ibadatagulo reward that much more. Prophet Muhammad (peace be upon him.) Paradise for the deeds that they do are:
1. The first way is to enter paradise: Martyrdom is the witness of the fact that there is no god except Allah and the truth, the single, which is a partner. The Prophet Muhammad is His slave and Messenger. So that will give witness to Islam, to observe all that Arkan, and a unique worship God, he will enter Paradise. Ubadah bin Samit reported narrated from the Prophet peace be upon him said: «من شهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له وأن محمدا عبده ورسوله, وأن عيسى عبده ورسوله وكلمته ألقاها إلى مريم وروح منه, والجنة حق والنار حق أدخله الله الجنة ما كان من العمل »(متفق عليه). '' The person who will testify that "no true god except Allah, there is a unique, He has no partner, and that Muhammad is His slave and Messenger, the Prophet, the Prophet Jesus and the Word of Allah is His slave and Messenger of Miriam, whom he sent to and from the Spirit of God, and Paradise is true, hell is true. " Allah will admit him to Paradise, whatever his deeds. ' [Bukhari and Muslim]
Allah says:) إن ٱلذين قالوا ربنا ٱلله ثم ٱستقموا فلا خوف عليهم ولا هم يحزنون 13 أولئك أصحب ٱلجنة خلدين فيها جزآء بما كانوا يعملون 14 ([الأحقاف: 13-14] '' Surely those who say, Our Lord is Allah, then these words, is strengthened. There is no fear of them, there is no worry. They are the dwellers of Paradise, where they will remain forever. As a result, they will be done at the Garden. [Surah Al-Ahqaf: 13-14]
الاستقامة mentioned in the verse means: to obey Allah and His Messenger. And whoever obeys Allah and His Messenger, he will enter Paradise. Abu Huraira reported Allah be pleased with him, he said, the Prophet peace be upon him, said: «كل أمتي يدخلون الجنة إلا من أبى, فقالوا يا رسول الله ومن أبى? قال من أطاعني دخل الجنة ومن عصاني فقد أبى »(رواه البخاري). 'Heaven is not interested in a man who will enter Paradise without all ummatai. They said: O Messenger of Allah! Who is that person who refuses to go to Heaven? The Prophet peace be upon him, said that he would obey me will enter Paradise, and whoever disobeys me and disobedience, he refused to go to Paradise. ' [Bukhari]
II. The names of Allah's beautiful names to memorize and to acquire knowledge about a way to enter Paradise. Radi Allah be pleased with him narrated from Abu Hurayrah that the Prophet peace be upon him, said: «إن لله تسعة وتسعين اسما, مائة إلا واحدا, من أحصاها دخل الجنة». 'Allah has ninety-nine names. The names that count, he will enter Paradise. ' [Bukhari and Muslim]
3. Followers of al-Quran, Allah and His edgy Ahl servant, the Quran would be the way to enter Paradise. Abdullah ibn 'Amr reported that the Prophet narrated from the Prophet, the Prophet peace be upon him said: «يقال لصاحب القرآن: اقرأ وارتق, ورتل كما كنت ترتل في الدنيا, فإن منزلتك عند آخر آية تقرأ بها» (رواه الترمذي وأبو داود وابن ماجة وصححه الألباني). 'Alakuraanera partner will be asked to: read the Quran, and the dignity of the climb to the peak. And to be read. As the world were read; The last verses of the Qur'an to your dignity, which you should read. " [Tirmidhi, Abu Dawud, Ibn mayaha tradition, Albani said the Hadith Sahih]
There are more than proven that the Prophet peace be upon him, certain chapter and verse means to enter Paradise. Abu umama narrated that the Prophet peace be upon him said: «من قرأ آية الكرسي في دبر كل صلاة مكتوبة لم يمنعه من دخول الجنة إلا أن يموت». 'The person who will read Kursi after every obligatory prayer, he with death shall be Paradise.' [Nasa'i, Tabarani, Ibn Hibban, it has been described and said Albani in Sahih hadith] Anas narrated that the Prophet peace be upon him, said: «سورة من القرآن ما هي إلا ثلاثون آية خاصمت عن صاحبها حتى أدخلته الجنة وهي تبارك». "30 verses of the Quran with a chapter, the reader will continue to recommend Paradise until you are taking. Surah of the tabaraka '(ie Al-testing). [Narrated by Tabarani and Al Albani says pure]
Anas reported that a man used to lead Ansar Mosque kobaya. He used to recite the Surah rakatei قل هو الله أحد. The Messenger of Allah asked him: do you recite this Surah rakat for any reason? And he said to the disciple, 'O Messenger of Allah! I too like the Surah. The Prophet peace be upon him, he said, is why this Surah choice you will enter Paradise. [Bukhari Hadith narrated sanadabihina. Good and authentic Hadith Tirmidhi and Al Albani says]
4. Whoever acquires knowledge for the sake of Allah, Allah is easy path for him to Paradise. Abu Huraira reported Allah be pleased with him, he said, the Prophet peace be upon him said: «من سلك طريقا يلتمس فيه علما سهل الله له به طريقا إلى الجنة» (مسلم). '' The person who goes out in the street to gain knowledge, exchange paved the way for him to Paradise. ' [Muslim]
5. Exhortation verifies the existence of God: God's glorification (giving), Tahleel (La ilaha ill), and Abdullah bin Mas'ud reported about the merits of takbir are reported, he said that the Messenger of Allah, peace be upon him said: «لقيت ليلة أسري بي إبراهيم, فقال يا محمد, أقرئ أمتك مني السلام وأخبرهم أن الجنة طيبة التربة, عذبة الماء, وأنها قيعان وأن غراسها سبحان الله والحمد لله ولا إله إلا الله والله أكبر ». 'Meraj Ibrahim alaihis night when I met with him and he said,' O Muhammad! I say hi to my community and give them the news that the beautiful Paradise soil, water, sweet, trees and gardens flat and Glory be to Allah, alahamadulliaha, La ilaha illallah, Allahu Akbar. ' [Tiramiyieti traditions and Albani said it is]
6. Paradise means of entering into a remembrance of Allah is recited after every prayer: Narrated Abu Huraira reported that the poor emigrants came to the Prophet Muhammad. Rich people are rich and manifold blessings of Allah the highest dignity and was happy to achieve. The Prophet peace be upon him, said, How? They replied that they pray as we pray. Fasting as we think they are fasting. But we can not do that if they give in charity.
We do not do what they were freed slaves. The Messenger of Allah said: 'I will teach you something, by which ye shall be equal to the ancients, and you will be superior to the latter? And you do not have anyone better than you, like you, except that he will do so. They said, 'O Messenger of Allah! Teach us to do that. The Prophet peace be upon him, said after the prayer 33 times Subhan Allah, Allahu Akbar, 33 times, 33 times and read Alhamdulillah ''. [Muslim]
7. Similarly, the kalimaye fore the recital ayura way to Paradise. Ukabaha bin 'Amir said: The Messenger of Allah, peace be upon him, said that after one of you nice ablutions: «أشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له وأن محمدا عبده ورسوله». Paradise 8 doors will be opened for him, he will enter Paradise through the door will. [Muslim]
8. لا حول ولا قوة إلا بالله Doa at the treasures of Paradise: Narrated Abu Musa, he said: The Messenger of Allah, peace be upon him, said: I will inform you about a rich treasure of treasures of Paradise? I said: Yes, O Messenger of Allah! He say: لا حول ولا قوة إلا بالله means: '' There is no power except Allah's refuge and strength. ' [Bukhari, Muslim]
